জিম শুরু করার ৭ উপায়

নতুন কিছু শুরু করতে গেলে কিছুটা অস্বস্তি লাগা স্বাভাবিক। সেটা যদি হয় জিমে যাওয়ার মতো কিছু, যেটা করতে হয় সবার সামনে, তাহলে অস্বস্তির মাত্রাও হয় বেশি। সেই আড়ষ্টতায় অনেকেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। এভাবে অনেকেই শরীরের ব্যাপারে সচেতন হয়েও শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেন না। শুরু করেও থামিয়ে দেন। জিম শুরুর এই আড়ষ্টতা ভাঙতে করতে পারেন এসব কাজ।

জিম বাছাইয়ে সতর্ক হোন

সাধারণত সবাই বাসার কত কাছে বা যাওয়া-আসার সুবিধা বিবেচনা করে জিম বাছাই করেন। কিন্তু তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সুযোগ-সুবিধা এবং সেখানকার পরিবেশ। জিমের সঙ্গীরা মনের মতো না হলে দ্রুতই আপনি যাওয়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন। আবার সেখানকার কর্মীদের আন্তরিকতা বাড়িয়ে দিতে পারে আপনার আগ্রহ।

গড়ে তুলুন অভ্যাস

নতুন অভ্যাস গড়ে উঠতে দুই মাস সময় লাগে। তাই প্রথম দুই মাস মনোযোগ দিন নিয়মিত যাওয়ার ওপর। ইচ্ছা না করলে জিমে গিয়ে শুধু স্ট্রেচিং করেই চলে আসুন। কিন্তু কামাই করবেন না। জিমের সঙ্গীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন। তাহলে তাঁদের সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ আপনাকে জিমে যেতে সাহায্য করবে।

ব্যায়াম ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি জানুন

জিমে গিয়ে পরিচয় হয় ব্যায়ামের নতুন সব যন্ত্রপাতির সঙ্গে। সেগুলো তো বটেই, অধিকাংশ ব্যায়ামের সঙ্গেই সাধারণ মানুষের আগে থেকে পরিচয় থাকে না। এ নিয়ে দ্বিধায় ভোগার কিছু নেই। জিমে সবচেয়ে সপ্রতিভ লোকটিও এই পর্যায় পার করে এসেছেন। বরং নিয়মিত খানিকটা সময় ব্যয় করুন এগুলো জানতে।

কী করবেন, কেন করবেন

আপনার জিমে যাওয়ার উদ্দেশ্য হতে হবে স্পষ্ট। সে অনুযায়ী ঠিক করুন আপনার ব্যায়ামের তালিকা। ভালোভাবে বুঝে নিন ব্যায়ামগুলো। জেনে নিন কোনটা কতবার করতে হবে। ছোট একটা ভুল ব্যায়ামও আপনাকে ভোগাতে পারে। ভুগতে হতে পারে কোনো ব্যায়াম অতিরিক্ত করলেও। ব্যায়ামের মাঝখানে বিরতিও নিতে হবে মেপে।

প্রশিক্ষকের সাহায্য নিন

জিম বাছাইয়ের সময় এটাও বিবেচনায় রাখুন। কোন জিমে ভালো প্রশিক্ষক আছেন, তাঁর সঙ্গে নিয়মিত পরামর্শ করুন। সে অনুযায়ী ব্যায়াম করুন। সম্ভব হলে ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সেবা নিন। কারণ, আপনি এ বিষয়ে প্রশিক্ষিত নন। নিজে নিজে ব্যায়াম করতে গেলে ছোট ভুলে বড় মাশুল দিতে হতে পারে।

পরিকল্পনা করুন

জিমে যাওয়া অভ্যাসে পরিণত হলে আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন। শুরুতে আপনি যা করবেন, তাতেই ফল পাবেন। কারণ, আগে আপনি কোনো ব্যায়ামই করতেন না। এখন পরিকল্পনা করে এগোতে হবে। আর যখনই নিজের উন্নতি টের পাবেন, দেখবেন ভেতরে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করবে।

বের করুন পছন্দের ধরন

এরপরও যদি জিমে যাওয়া উপভোগ না করেন, ব্যায়ামের ধরন বদলে ফেলুন। বই পড়া, গান শোনা বা সিনেমা দেখার মতো ব্যায়ামেরও অনেক ধরন আছে। সব ধরন সবার পছন্দ হবে না, এটাই স্বাভাবিক। তাই খুঁজে বের করুন আপনার পছন্দের ধরন। সে অনুযায়ী নতুন করে সাজান পরিকল্পনা।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
লেখা: নাবীল আল জাহান
সোর্স : প্রথম আলো



Post a Comment

Previous Post Next Post

POST ADS1

POST ADS 2