বাইরের
সাহায্য ছাড়া যুবক-যুবতীদের
প্রেম নিবেদন
যখন
কোনও তরুণী তার হাবভাবে বা
ব্যবহারে আর এক যুবকের প্রতি
আসক্তি দেখায়, তখন
ঐ যুবক আর কোনবও ঘটক বা মধ্যবর্ত্তী
দূতের সাহায্য না নিয়ে নিজেই
ঐ যুবতীকে লাভ করবার ব্যবস্থা
করবে।
পাশা
খেলা বা তাস খেলতে খেলতে ছলনা
করে যুবক যুবতীর সঙ্গে ঝগড়া
আরম্ভ করতে পারে। তখন যুবতী
নিশ্চয়ই তার আকারে প্রকারে
নানা রকম কামক্রিয়ার সূচনা
করতে পারে।
অবসর
পেলেই ঐ প্রেমিক যুবক যুবতীকে
আল্গা আল্গা ভাবে অঙ্গ
স্পর্শ করবে। তখন সে হয়তো এমন
ছবি ঐ নায়িকাকে দেখাতে পারে
যাতে দুটি মূর্ত্তি (একটি
নারী একটি পুরুষ) পরস্পর
আলিঙ্গন অবস্থায় অঙ্কত।
কোন
মিলনের ছবি দেখিয়ে নায়িকাকে
নায়ক তার মনের ইচ্ছা বোঝাতে
পারে। অথবা নদীতে বা দীঘিতে
দু’জনে স্নান করার সময় নায়ক
একটু তফাতে ডুব মেরে একেবারে
নারীর অঙ্গ ঘেঁসে উঠতে পারে।
গা ঘেঁসে দূরে যেয়েও উঠতে
পারে। এতে প্রেমাকর্ষণ
বাড়ে।
বসন্ত
উৎসবের সময় কোনও পাতায় তার
মনের ইচ্ছার ছবি এঁকে তা ঐ
প্রেমিকাকে দেখিয়ে তার মনের
কথাটা জানাতে পারে।
ঐ
যুবক তার প্রেমিকাকে বলতে
পারে যে তাকে না পেলে বড় মন
খারাপ হয়ে যায়। ঘুম আসে না,
ঘুমোলে সে তাকে
স্বপ্ন দেখে।
থিয়েটার
বা যাত্রা দেখতে গিয়ে কোনও
ছল করে সে ধীরে ধীরে তার অঙ্গ
স্পর্শ করবে। খুব আসে-
আসে- তার
পায়ের বুড়ো আঙ্গুল নিজের
আঙ্গুলে দিয়ে চেপে ধরবে। যে
কোন নিশানাতেই নিজের মনের
ভাব নায়িকাকে জানাবে-আমি
তোমাকে ভুলতে পারি না। এসো
দু’জনে একসঙ্গে থাকি।
যখন
নায়ক বুঝবে-নায়িকা
সত্যিই তার প্রতি আসক্ত তখন
সে অসুখের ভান করবে। নায়িকাকে
ডেকে পাঠাবে-নায়িকা
হয়ত এসে মাথায় গায়ে হাত
বুলাবে।
তখন
নায়ক বলবে-উঃ
কি আরাম। এত ওষুধ খাওয়া হলো,
তাতে কিছুই
হলো না। তোমার সামান্য স্পর্শে
আমি খুব আনন্দ পেলাম,
আমি অনেক
সুস্থ।
তারপর
সে নায়িকার অনেক প্রশংসা করবে।
এইভাবে ধীরে ধীরে নায়িকা
আকৃষ্ট হ’লে দু’জনে কোনও দিন
নিভৃতে থাকাকালে নায়ন যৌন
কার্যের কথা বলবে। এটি অন্ধকারে
করা উচিত-কারণ
অন্ধকারে নায়িকাদের প্রেম
কামনা বৃদ্ধি পায়।
একান্ত
কিছুতেই স্বীকৃতি না পেলে
নায়িকার কোন সখী বা সাথীদের
সাহায্য নেওয়া উচিত।
যখন
কোনও তরুণী সাধারণ কোন জায়গায়,
দেব মন্দির
কিংবা উৎসবের জায়গায় কোনও
তরুণের প্রতি ভালবাসা দেখায়
(যমন চাউনি,
হাসি খুশি
ইত্যাদি) তখন
বুঝতে হবে ঐ তরুণ ইচ্ছুক হলেই
তরুণীটিকে সে লাভ করতে পারে।
শুধু চাই ধৈর্য্য, কৌশল
ও অধ্যবসায়।
ইচ্ছুক
নারীদের কর্তব্য
যখন
কোনও নারী তার মনের মত পুরুষ
পেতে ইচ্ছুক হয়, তখন
এমনও হতে পারে যে ঐ তরুণীকে
সে কিছুতেই যোগাড় করতে পারে
না।
এরূপ
ঘটনা নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলিতে
ঘটতে পারে। যথা-
১।
কোন সম্ভ্রান্ত কন্যা,
সুন্দরী,
গুণবতী কিন্তু
আর্থিক অভাবগ্রস্ত।
২।
নারী গুণবতী, সুন্দরী
কিন্তু উচ্চবংশের নয়।
৩।
পিতৃমাতৃহীন, মাতুলালয়ে
প্রতিপালিত।
৪।
স্বামী জোগাড় করে দেবার লোকের
অভাব।
৫।
বয়সে বিবাহ যোগ্যের হয়ে
বেশি।
এইসব
ক্ষেত্রে হলে নিজের চেষ্টা
করে তার মনোমত প্রতি যোগাড়
করে নেবে।
সে
তখন একজন পরিশ্রমী,
উদ্যমশীল ও
সুশ্রী তরুণকে মনে মনে ঠিক
করে নেবে।
হয়তো
বাল্যকালে যে সব বালকের সঙ্গে
সে খেলাধূলা করেছিল,
তাদের একজনকে
ঠিক করে নিতে পারে। অথবা এমন
যুবককে মনে মনে ঠিক করবে-যে
তার প্রতি কিছু কিছু ইশারায়
আসক্ত হয়েছে।
সেই
যুবক এমন চিহ্ন প্রকাশ করেছে
যে, নায়িকার
মত পেলে সে তাকে বাবা মার মতের
বিরুদ্ধেই বিয়ে করতে পারে।
তাকে পাবার জন্যে নিজের পৈতৃক
ধন্তসম্পত্তিও বিসর্জন দিতে
পারে। এমন কি সমাজের নিন্দা
বা নিষেধাজ্ঞা সে অগ্রাহ্য
করতে পারে।
মনে
মনে এমনি পাত্র ঠিক করে সে সেই
তরুণের সঙ্গে নিভৃতে দেখা
করবে। হাব ভাব ইঙ্গিতে সে তাকে
আকর্ষণ করতে চেষ্টা করবে।
সুযোগ
পেলে সে গোপনে নায়ককে ফুলের
মালা বা গন্ধ দ্রব্য উপহার
দিতে পারে।
নায়িকা
নিভৃতে নায়ককে মনের ভাব
জানাবে-তার
কাণের কাছে মুখ নিয়ে ফিস্ফিস্
করে গল্প করবে, দেখবে,
নায়ক তাকে চায়
কিনা।
যদি
নায়ক তা চায় সে তখন নায়িকার
দেহ স্পর্শ বা আলিঙ্গণ
করবে।
নায়িকা
আগে বুঝবে, নায়ক
তাকে গ্রহণ করতে সত্যি রাজী
কিনা। যদি দেখে নায়ক তাকে গভীর
ভাবে ভালবাসে-তখন
সে নায়কের চুম্বন বা আলিঙ্গনের
উত্তর দেবে।
নায়ক
যদি যৌন মিলনের প্রস্তাব করে
নায়িকা তাতেও রাজী হবে।
তারপর
দু’জনে চুম্বন, আলিঙ্গন
করবে। নায়ক তার দেহ মর্দন করলে
সে তা উপভোগ করবে। কিন্তু আগে
দেখা উচিত নায়ক যেন বিশ্বাসী
হয়-অর্থাৎ
উপভোগ করে ত্যাগ করতে না
পারে।
মিলনের
সময় নায়ক চাইলে, নায়িকা
তার বাম হাত দিয়ে নায়কের লিঙ্গ
স্থানে চাপ দিতে পারে।
নায়িকার
যোনিতে হাত দিয়ে নায়কের লিঙ্গ
স্থানে চাপ দিতে পারে।
নায়িকার
যোনিতে হাত দিয়ে চাইলে,
সে মৃদু আপত্তি
করবে, তাতে
বাধা দেবে না।
কিন্তু
প্রত্যক্ষ যৌন মিলনে রাজী
হওয়া উচিত-যতক্ষণ
অন্ততঃ গান্ধর্ব বিয়ে অনুষ্ঠিত
না হচ্ছে।
এ
বিষয়ে পরে বলা হবে।
নারী কিরূপ
পুরুষ চায়
১।
বলিষ্ঠ, স্বাস্থ্যবান
ও যুবক।
২।
সুন্দর গাত্রবর্ণ, সুদর্শন
ও সুশ্রী।
৩।
যার মধ্যে নিজস্ব স্বকীয়তা
বা বিশেষ দৃঢ়তা আছে।
৪।
যে কিছুটা অহঙ্কারী,
গর্ব্বিত।
৫।
যার প্রচণ্ড আত্নবিশ্বাস
আছে।
৬।
যার বিশেষ ব্যক্তিত্ব ও দৃঢ়তা
আছে।
৭।
যে পুরুষের নিজস্ব উপার্জন
যথেষ্ট এবং সে তাকে প্রতিপালন
করার যোগ্য।
৮।
যে পুরুষের অন্য স্ত্রী নাই-বা
অন্য নারীর প্রতি গভীর আসক্তি
নাই।
৯।
যে নির্ভরযোগ্য ও তাকে সারা
জীবন আশ্রয় দিতে পারবে।
১০।
নায়ক সুশিক্ষিত, মার্জিত
ও রুচি সম্পন্ন হলে খুব ভাল
হয়।
১১।
খেয়ালী ও কল্পনা প্রবণ পুরুষকেও
অনেক নারী পছন্দ করে থাকে।
১২।
যে পুরুষের নানা গুণ আছে-যেমন,গান,
বাজনা,
শিশুসাহিত্য,
কাব্য ইত্যাদি।
কোনও বিশেষ গুণের অধিকারী যে
পুরুষ।
১৩।
যে পুরুষ উচ্চ বংশ উদ্ভুত।
১৪।
বয়সে নারীর চেয়ে কিছুটা অন্ততঃ
পাঁচ-ছয়
বছরের বড়।
১৫।
যে পুরুষ নারীকে সত্যিই গভীর
ভাবে ভালবাসে।
১৬।
খুব কামুক বা লম্পট পুরুষকে
চায় না।
১৭।
বয়স্ক বা অনাসক্ত পুরুষকে
চায় না।
১৮।
জুয়াড়ি বা বেশ্যাসক্ত পুরুষকে
চায় না। এই ধরণের অন্যান্য
গুণ থাকলেও তাকে নারী ঘৃনা
করে।
১৯।
যে পুরুষ হৃদয়হীন বা অত্যাচারী
ও স্বেচ্ছাচারী হয় তাকে নারী
চায় না।
২০।
যে পুরুষ পৌরুষত্বহীন বা
দৃঢ়তাহীন তাকেও নারী চায় না।