এই পাঁচ অভ্যাস আপনার মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে

POST ADS1

জেনে হোক, না জেনে হোক, কিছু বদভ্যাস আছে আমাদের মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। উইনার স্পিরিট অনুসারে এমনই পাঁচ অভ্যাসের কথা জেনে নেওয়া যাক।

. আট ঘণ্টার কম ঘুমানো উচিত নয়। ছয় ঘণ্টার কম ঘুমানো মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এটি কম বয়সেই ডিমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রংশ) ও আলঝেইমারের কারণ। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা উচিত। ঘুমের সমস্যা হলে সন্ধ্যার পর চা-কফি বা কোনো ধরনের ক্যাফেইন, মোবাইল, ল্যাপটপ, টেলিভিশন থেকে দূরে থাকতে হবে।

. একা থাকা মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। মানুষ প্রাকৃতিকভাবেই সামাজিক জীব। দলবদ্ধভাবে থাকা কেবল তাঁর প্রয়োজনই নয়, বরং জিনের ভেতরের কোডিংগত প্রবণতা। তাই একা থাকা মানে নিজের স্বাতন্ত্র্যকে অস্বীকার করে সিস্টেমে গরমিল ঘটানো। পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ থাকা, বন্ধুদের সঙ্গ নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। একা থাকা মানুষের সৃজনশীলতা, চিন্তার পরিধি ও গ্রহণযোগ্যতা ধীরে ধীরে কমে আসে।

. হেডফোনে উচ্চ স্বরে গান শোনার অভ্যাস (পড়ুন বদভ্যাস) থাকলে আজই বাদ দিন। কেননা, এতে আপনার শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়, মস্তিষ্কের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়, নষ্ট নয় মনোযোগ। যিনি উচ্চ শব্দে গান শোনেন, তাঁকে আশপাশে কী ঘটছে, বোঝার জন্য অধিক পরিশ্রম করতে হয়।

. শরীরচর্চা না করাটা ভয়াবহ অভ্যাস। এতেও ডিমেনশিয়া এগিয়ে আসে। মস্তিষ্কের রোগ ছাড়াও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্‌রোগের শঙ্কা বাড়ে। নারী–পুরুষনির্বিশেষে ঘরের কাজ করুন। বাড়ির আশপাশে হাঁটুন।

. দিনের আলোর কোনো বিকল্প নেই। অপর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো বিষণ্নতা ও অবসাদের মতো মানসিক রোগ সৃষ্টি করে। এ কারণেই শীতপ্রধান দেশে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। ঘরে রোদ ঢুকতে দিন। ভোরের আলো গায়ে মাখুন। প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট রোদে থাকুন।

সোর্স : প্রথম আলো



POST ADS 2

Post a Comment

Previous Post Next Post