৪.১ সহায়গম্যাগম্যচিন্তা, গমনকরণম্‌ ও গম্যাপাবর্ত্তনম্‌ (প্রণয়ী নির্বাচন সংক্রান্ত উপদেশ)

চতুর্থ ভাগ – প্রথম অধ্যায়

পূর্ব পূর্ব অধিকরণ দ্বারা নায়িকাত্রয়ের সমাগমোপায় কথিত হইয়াছে। সম্প্রতি বেশ্যাদিগের সহিত সমাগমোপায় বলিবার জন্য বৈশিকনামক চতুর্থ অধিকরণ আরম্ভ করা যাইতেছে। সহায়াদি নিরূপণ ব্যাপার সংসাধিত হইলে, তবে সমাগমব্যাপার সংসাধিত হইতে পারে; সুতরাং সহায়গম্যাগম্যগমনকারণচিন্তানামক প্রকরণ প্রবর্তিত হইতেছে—

পুরুষ ও বেশ্যা, উভয়েরই যদ্যপি রতিফল সমান; তথাপি বেশ্যা হইতেছে প্রয়োগকর্ত্রী; সুতরাং তাহাতে তাহারই অধিকার, পুরুষের নহে। আরও তাহার জীবিকাই তদধীন।

সৃষ্টির স্বাভাবানুসারে বুঝিতে পারা যায়—পুরুষের প্রাপ্তি হইলে, বেশ্যার রতি ও জীবিকালাভ হইতে পারে। তন্মধ্যে রতির জন্য প্রবৃত্তি স্বাভাবিক; কিন্তু অর্থের জন্য প্রবৃত্তি কৃত্রিম। তাহা হইলেও স্বাভাবিক প্রবৃত্তির ন্যায় রূপিত (অনুকরণ) করিবে; কারণ কামপরা স্ত্রীতেই পুরুষের প্রগাঢ় বিশ্বাস জন্মিয়া থাকে। পুরুষের নিদর্শনার্থ একেবারে লোভ প্রকাশ করিবে না। পরিণামমঙ্গলের জন্য উপায় ব্যতীত অর্থসাধন করিবে না। উপায় কি, পরে বলা যাইতেছে। প্রত্যহ অলঙ্কারভূষিত হইয়া সাধারণে যাহাতে দেখিতে পায়, এরূপভাবে বসিয়া রাজপথ অবলোকন করিবে; কিন্তু তাই বলিয়া অতিপ্রকাশিত হইয়া বসিবে না; কারণ বেশ্যা বিক্রেতব্য পণ্যের ন্যায়। অনেকটা প্রকাশিত থাকিবে, অথচ তাহার মধ্যে কথঞ্চিত অপ্রকাশিতও থাকিবে। তাহাতে সাধারণের দর্শণলালসা প্রবর্দ্ধিত হইবে।।’১।।

এইগুলি সহায়—
যাহারা নায়কগণকে জুটাইয়া আনিতে পারিবে, অন্য বেশ্যার নিকট যাইতে দিবে না, নিজের অনর্থের প্রতীকার করিবে, অর্থসিদ্ধি করাইয়া দিতে পারিবে, গমনীয় পুরুষের দ্বারা পরিভব উৎপাদন বা অনাদর করিবে না, তাহাদিগকে সহায় করিবে। সেইসকল আরক্ষক পুরুষগণ ধর্মবিধকরণস্থা দৈবজ্ঞ, বিশেষবিক্রমশালী, শূর, সমানবিদ্যা, কলাগ্রহী, পীঠমর্দ, বিট, বিদূষক, মালাকার, গান্ধিক, শৌণ্ডিল, রজক, নাপিত এবং ভিক্ষুকগণ, সেই সেই কর্মে অধিকৃত হইতে পারিবে; কারণ তাহারা পরগৃহে যাইয়া থাকে ও তাহারা নায়িকাকে উৎসাহ দিয়া আনিতেও পারে। তদ্ভিন্ন অন্যান্য ব্যক্তিও সেরূপ করিতে পারে।।’২।।

এইগুলি গম্য—
কেবলমাত্র অর্থসিদ্ধিকর এইসকল পুরুষ গম্য—স্বাধীন, প্রথম বয়সে বর্তমান হুবক, ধনবান্‌, যাহার বৃত্তি সকলেরই প্রত্যক্ষগোচরে অবস্থিত, অর্থাধিকারে অধিকৃত, যাহার ধন কষ্ট করিয়া উপার্জন করিতে হয় নাই, যে স্পর্ধাবান্‌, যাহার আয় নিরবধি আছে, যে দুর্ভাগ্য হইয়াও নিজেকে সুভগ বলিয়া মনে করে, যে নিজের শ্লাঘা করা ভালবাসে, তাহাকে পুরুষ বলিয়া খ্যাপন করিতে নপুংসক ভালবাসে, সে সমানস্পর্ধী—অর্থাৎ কুল, বিদ্যা, ধন ও বয়সের যে কোন একটিএ স্পর্ধা করিয়া থাকে, স্বভাবতই দানশীল, রাজা ও মহামাত্রের নিকট যে গ্রাহ্যবচন—অর্থাৎ যাহার কথা রাজা ও মহামাত্রবর্গ শুনিয়া থাকে, দৈবপ্রমাণ—অর্থাৎ যে মনে করে ভাগ্যক্ষয়েই ধন ক্ষয় হয়, উপভোগে নহে, যে ধনের মমতা করে না, যে গুরুগণের শাসসাতিক্রান্ত, সজাত দায়াদবর্গের লক্ষ্যভূত ধনবানের একমাত্র পুত্র, প্রচ্চন্নকাম সন্নাসী, ধনবান শূর এবং বৈদ্য, যাহার চিকিৎসায় আরোগ্যের আশা করা যায়, সে যদি ধনবান্‌ নাও হয় তথাপি গমা; কারণ সে চিকিৎসাদান করিবে।।’৩।।

যেসকল গুণবানের নিকট প্রীতি ও যশ লাভ করিতে পারা যায়, সেসকল গুণবান্‌ গম্য।।’৪।।
প্রীতি ও যশের জন্য গুণবান্‌ গমনীয়।।৪।।

মহাকুলজাত, মহাকুলসম্মপন্ন; অম্বিক্ষিকী-আদি-শাস্ত্রাভিজ্ঞ বিদ্বান্‌; পাষণ্ডাদি সকল সময় (লম্পটাদির আচার-ব্যবহার নীতি) পরিজ্ঞানকুশল, কবি, আখ্যানকুশল, বাগ্মী, প্রতিভামান, লেখ্যাদিবিবিধশিল্পজ্ঞ, বিদ্যাবয়োবৃদ্ধের উপাসক, স্থূললক্ষ্য (মহাশয়), মহোৎসাহ (শৌর্য, অমর্ষতা, শীঘ্রতা, দক্ষতা প্রভৃতি উৎসাহের গুণ) তদ্বান্‌, দৃঢ়ভক্তি, অনসূয়ক, ত্যাগশীল, মিত্রবৎসল, ঘটা, গোষ্ঠী, প্রেক্ষণক (নটাদিব্যাপার), সমাজ, সমস্যা ও ক্রীড়ানশীল, নীরোগ অব্যঙ্গ-শরীর, বলবান্‌, অমদ্যপায়ী, ব্যাবায়ক্ষম, করুণাবান্‌, স্ত্রীগণের উপদেশ দ্বারা সমুচাদারে (প্রচলিত বৈধাচারে) স্থাপন, প্রণয় ও শরীর রক্ষার পক্ষে ব্যাঘাত যে বিকলতাদি, তাহার সম্বরণ—লালন করিতে যে সক্ষম। তাহাকেই নায়ক বলা যায়—অর্থাৎ এতাদৃশগুণবান্‌ পুরুষই নায়কপদবাচ্য। সে-নায়ক স্ত্রীর বশগ নহে, স্বাধীনবৃত্তি হইবে, নিষ্ঠুর হইবে না, ঈর্ষালু হইবে না, নিঃশঙ্কভাবে যে কোন ক্রিয়া আরম্ভ করিবে। এই সকল নায়কের গুণ কথিত হইল।।’৫।।
পূর্বে বলা হইয়াছিল নায়কগুণ বৈশিকে বলিব। এখন তাহা কথিত হইল।।৫।।

এক্ষণে নায়িকার গুণ বর্ণনা করিতে প্রবৃত্ত হইতেছি—রূপ, যৌবন, লক্ষণ, মাধুর্য, গুণে অনুরাগ, অর্থে তাদৃশ রাগ নহে, প্রীতিসংযোগ, মতিস্থৈর্য, একজাতি (একপ্রকারা অর্থাৎ মায়াবিনী না হওয়া), বিশেষার্থিতা (যে কোন বস্তুতে রুচিপ্রকাশ না করা), নিয়ত অকদর্যবৃত্তি ও গোষ্ঠী-কালানুরাগ। যাহার এ সকল গুণ আছে, সেই নায়িকা হইতে পারে।।’৬।।

উভয়সাধারণ কি?—
নায়ক ও নায়িকার বুদ্ধি, শীল, আচার, ঋজুতা, কৃতজ্ঞতা, দীর্ঘদর্শিতা ও দূরদর্শিতা (বিচক্ষণতা), অবিসম্বাদিতা (অকলহপ্রিয়তা), দেশ ও কালের জ্ঞান, নাগরকবৃত্তের অনুষ্ঠান, যাচ্‌ঞা, অতিহাস (খলখলহাস বা অট্টঅট্টহাস), পরস্পর সম্ভেদন (পরস্পর মিলিতে পারা), পরদোষের উদাহরণ (কথন), ক্রোধ ও লোভের স্তম্ভন, অধৈর্যবর্জন, স্মিতপূর্বাভিভাষণ, কামসূত্রে কৌশল এবং তাহার অঙ্গবিদ্যায়ও কৌশলজ্ঞান থাকা। এইসকল সাধারণগুণ। ইহার বিপরীত হইলেই দোষ জানিবে।। ’৭।।

এক্ষণে অগম্যচিন্তা করা যাইতেছে—
রাজযক্ষ্মা রোগ যাহার আছে, কুষ্ঠরোগ যাহার আছে; আর একপ্রকার বিষ্টামক্ষিকা আছে, সে যে ব্রণে বিষ্ঠাত্যাগ করে, সেই ব্রণেই কৃমি হয়, সেইরূপ যাহার শুক্রসংসর্গ মাত্রেই স্ত্রী গর্ভবতী হয়, সেও কৃমিশকৃৎপদবাচ্য, দুর্গন্ধমুখ বা যে কোন স্ত্রীতে গমনকারী (শুচি ও অশুচি অভেদে কাক যেমন মুখ প্রদান করে, সেই রূপ), যে নিজস্ত্রীকে ভালবাসে, যাহার বাক্য অতীব কঠোর, কদর্য, নির্ঘৃণ, অর্থাৎ নির্দয়—গুরুজনপরিত্যক্ত চোর, দম্ভশীল, মূলকর্মে (মারণ, বশীকরণাদিতে) প্রসক্ত, মান ও অপমানের অপেক্ষা করে না, যে দ্বেষ্য লোকদ্বারাও অর্থহার্য, অর্থাৎ অর্থের লোভ দেখাইয়া আহরণ করিতে পারে এবং লজ্জাহীন।–এই সকল ব্যক্তি কখনও গম্য হইতে পারে না।।’৮।।

যে সকল কারণে অভিগমন হইতে পারে, তাহার চিন্তা করা যাইতেছে—
স্বাভাবিক অনুরাগ, ব্যাপাদন, (মারণ) ভয়, ভুম্যাদিলাভ, অর্থ, সংঘর্ষ বা স্পর্ধা, (যেমন দেবদত্তার সহিত অনঙ্গসেনার কলাজ্ঞানবিষয়ে স্পর্ধা ছিল, পরে অবসর পাইয়া দেবদত্তা অনঙ্গসেনার কলাবিদ্যার সাহায্য সমাকর্ষণ করিয়া স্পর্ধাদ্বারা মূলদেবকে কামিত করিয়াছিলেন)। বৈরনির্য্যাতন, এ ব্যক্তি বিদগ্ধ বা রসজ্ঞ বলিয়া শুনিতে পাওয়া যায়; সেটি ঠিক কিনা? এই জিজ্ঞাসা, আশ্রয়, পরিশ্রম, (সম্প্রয়োগ এক প্রকার জীবিকা। যদি তাহাতে পরিশ্রম না থাকে, তবে হঠাৎ কোন কোন স্থানে প্রবর্তিত হইলেও বিমর্দ (রতিধর্ষণ) সহ্য করিতে পারে না), ধর্ম—(অকিঞ্চন বিদ্বদ্‌বিপ্র অভিগমনপ্রার্থী হইলে, তাহার মনোরথ পূরণ করিলে ধর্ম হইয়া থাকে), যশঃ (কোনও এক তিথিতে কামসত্র প্রদান করিলে, বিশেষ যশ হইয়া থাকে), অনুকম্পা, (তুমি যদি আমাকে কামনা না কর, তবে আমি মরিব, এই কথা যে বলে, তাহার উপর দয়া করা), সুহৃদবাক্য—(আমার একজন প্রণয়ী আসিয়াছেন, তাঁহার সহিত আজ শয়ন করিতে হইবে), লজ্জা, (যে গুরুস্থানীয়, সে লজ্জায় অভিগমন করিয়া থাকে)। প্রিয়সাদৃশ্য, ধন্যতা, এ ব্যক্তি পূণ্যবান্‌। কারণ রূপবান্‌ ও ধনবান্‌; সুতরাং ইহার সংযোগে আমিও ধন্য হইব; রাগাপনয়—(হঠাৎ কামোদ্রেক হইলে, উদ্রিক্ত শুক্রধাতুর, যে কোনও ব্যক্তির অভিগমন দ্বারা অপনয়ন করা); বিপ্রতিপন্না কুলকামিনীরু অভিগমন কারণ—‘এ আমার স্বজাতি’—এই জ্ঞান, ‘এ আমার প্রতিবেশী’, এই জ্ঞান, সর্বদা একস্থানে থাকা, আয়তি—প্রভাব, (প্রভাবশালীর অভিগমন করিলে নিজের প্রভাব বৃদ্ধি হয়)—এইগুলি গমনের কারণ হইতে পারে। এই কথা আচার্যগণ বলিয়া থাকেন।
বাৎস্যায়ন বলেন—অর্থলাভ, অনর্থপ্রতীঘাত এবং প্রীতিই অভিগমনের কারণ। প্রীতি দ্বারা অর্থের বাধ হইতে পারে না; কারণ অর্থেরই প্রাধান্য। ভয়াদিতে গুরুলাঘব পরীক্ষা করা উচিত।।’৯।।

ইতি সহায়গম্যাগম্যগমনকারণচিন্তানামক প্রকরণ।

এইরূপে সহায় নিরূপন করিয়া গমনীয় ব্যক্তিকে নিজের আয়ত্ত করিবার চেষ্টা করিবে। এজন্য গম্যোপাবর্তননামক প্রকরণের আরম্ভ করা যাইতেছে—

গম্যনায়ক স্বয়ং উপস্থিত হইয়া উপমন্ত্রণ (প্রার্থনা) করিলেও সহসা গমনে সম্মত হইবে না; কারণ পুরুষগণ সুলভে সম্মান করে না। নায়কের অভিপ্রায় কি, তাহা জানিবার ইচ্ছা করিয়া পরিচারকশ্রেষ্টদিগকে, সম্বাহক, গায়ন ও বিদূষকদিগকে বা গম্যের সেবাপর ব্যক্তিদিগকে গম্যের নিকট নিযুক্ত করিবে। যদি তাহাদিগের সাহায্য না পায়, তবে পীঠমর্দাদিকে নিযুক্ত করিবে। তাহাদিগের নিকটে নায়কের শৌচাশৌচ, রাগপরাগ, সক্তাসক্ততা ও দানাদানের বিষয়ে জানিবে। সম্ভাবিতের সহিত (বড়লোকের সহিত জীর্ণনাগরকবৃত্ত (রমণদূত বা কোটনা) দ্বারা প্রীতিযোগ ঘটাইবে।।’১০।।

প্রীতিযোগের বিধি বলিতেছেন—
লাবক কুক্কূট ও মেষযুদ্ধ, শুকসারিকাপ্রলাপন, প্রেক্ষণক ও কলাব্যপদেশে পীঠমর্দ নায়ককে নায়িকার গৃহে আনয়ন করিবে, কিংবা নায়িকাকে নায়কের গৃহে লইয়া যাইবে। আগত নায়কের প্রীতি ও অভিলাষ জন্মাইবে ও কোন কোন বিশেষ বিশেষ দ্রব্য ‘ইহা সাধারণের উপভোগ্য নহে,’—বলিয়া তাহাকে স্বয়ং দিবে। ইহা প্রীতিদায়। কাব্যগোষ্ঠী বা কলাগোষ্ঠী, যে কোন গোষ্ঠীতে নায়ক অত্যন্ত আসক্ত, সেই গোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করিয়া এবং তদুপযুক্ত উপচার স্রক্‌-তাম্বুলাদি দ্বারা নায়ককে অনুরঞ্জিত করিবে।।’১১।।

প্রত্যবচ্ছেদনের (বশীভূত করিবার) বিধি কথিত হইতেছে—
নায়ক বাটিতে উপস্থিত হইলে, পরিহাসের সহিত নানাবিধ ক্রীড়াকর প্রকৃষ্ট আলাপকারিণী পরিচারিকাকে মুহ্‌র্মুহুঃ উপায়নের সহিত প্রেষিত করিবে। কোনও কারণের ছলে পীঠমর্দের সহিত নায়িকাও স্বয়ং তথায় যাইবে।।’১২।।

এ বিষয়ে কতকগুলি শ্লোক আছে—
তাম্বুলসমূহ, মালাসকল ও সুসংস্কৃত অনুলেপন, আগত নায়কের প্রীতি আকর্ষণার্থ প্রীতিপূর্বক তথায় আহরণ করিবে ও কলাগোষ্ঠীর যোজনা করিবে।
প্রীতি ও কৌতুককর দ্রব্যসকল প্রণয়ের নিমিত্ত দান করিবে। যদি প্রণয়ের ব্যবস্থাপন হয়, তবে উত্তরীয়বস্ত্র বা অঙ্গুলীয়কের বিনিময় করিবে। যদি প্রণয় উৎপন্ন নাও হয়, তবে কপট প্রণয়-খ্যাপনার্থ প্রীতিকর ও কৌতুকপ্রদ দ্রব্যের দান ও প্রণয়সূচক উত্তরীয়বসনের বা অঙ্গলীয়কের বিনিময় করিতে ত্রুটি করিবে না। পরে সম্প্রয়োগের সঙ্কেত নিজেই করিবে। তাহার প্রয়োগ অন্যদ্বারা করাইবে না।
প্রীতিদায়, পীঠমর্দাদিকৃত উপন্যাস, (অর্থাৎ আর রাত্রে কষ্ট করিয়া বাড়ী গিয়া কী হইবে? এইখানেই কেন শয়ন করিয়া থাকুন না। আবার কষ্ট করিয়া যাওয়া কি সহিবে?—ইত্যাদি বাক্যের উপন্যাস) এবং উপচার কেবল সম্প্রয়োগের সূচক, সেই-সকল উপচার দ্বারা গম্যের সহিত সম্প্রযুক্তা হইয়া, পরে অধিকমাত্রায় তাহাকে রঞ্জিত করিবে।।’১৩।।

ইতি শ্রীমদ্‌বাৎস্যায়নীয় কামসূত্রে বৈশিকনামক চতুর্থ অধিকরণে সহায়গম্যাগম্যচিন্তা, গমনকারণ ও গম্যোপাবর্তননামক প্রথম অধ্যায়।।১।।



Post a Comment

Previous Post Next Post

POST ADS1

POST ADS 2