দ্বিতীয় ভাগ – চতুর্থ অধ্যায়
শাস্ত্রকারই
প্রকরনের সম্বন্ধ বলিতেছেন—
‘যে
কন্যা ইঙ্গিত ও আকার দর্শিত
করিবে, উপায়ানুসারে
তাহার অভিযোগ করিবে।।’১।।
অভিযোগ দ্বিবিধ,
বাহ্য ও আভ্যস্তর।
তন্মধ্যে বাহ্য অভিযোগের
বিষয় কীর্ত্তন করিতেছেন—
‘দ্যুত
ও ক্রীড়নকে বাক্যকলহ বাধাইয়া
(দাম্পত্যভাবব্যঞ্জক)
আকারের সহিত
নায়িকার পাণিগ্রহণ করিবে।।’২।।
–যাহা
হইলে নায়িকা বুঝিতে পারে যে,
আমি ইহার
বিবাহিতা।।২।।
‘অবসর বুঝিয়া স্পৃষ্টাকাদি আলিঙ্গনবিধির বিধান করিবে।।’৩।।
‘পত্রচ্ছেদ্যক্রিয়ায় নিজের অভিপ্রায়সূচক হংসাদিমিথুন নায়িকার নিকট দেখাইবে।।’৪।।
‘এইরূপ অন্যান্য সাকারতিলকাদি বিরল প্রদর্শন করিবে।।’৫।।
‘জলক্রীড়াকালে তাহার দূরে জলে নিমগ্ন হইয়া তাহার নিকট গিয়া তাহাকে স্পর্শ করিয়া সেইখানেই উঠিবে।।’৬।।
‘নবপত্রিকাদি
দেশ্যক্রীড়াকালে নিজের
সবিশেষভাব নিবেদন।।’৭।।
–নবপত্রিকাদি
দৈশিকক্রীড়ার কথা পূর্বে বলা
হইয়াছে। সেই ক্রীড়ার সময়ে
নবপল্লকে নিজের মনোগত ভাব
বুঝাইবার জন্য বিশেষ চিহ্ন
করিয়া দিবে। তদ্দ্বারা নিজের
মনোগত ইচ্ছার বিষয় বুঝিতে
পারিবে।।৭।।
‘নির্বিঘ্নভাবে নিজের দুঃখ কীর্তন করা।।’৮।।
‘অন্য কথাচ্ছলে ভাবযুক্তভাবে স্বপ্নের কীর্তন করিবে।।’৯।।
‘প্রেক্ষণক (যাত্রা নাচ গান ইত্যাদিতে) স্থলে বা স্বজন সমাজে নায়িকার সম্মুখে বসিবে। সেখানে অন্যের অপদেশে নায়িকাকে স্পর্শ করিবে।।’১০।।
‘তাহার অঙ্গে নিজের অঙ্গ স্থাপন করিয়া রাখিবার জন্য চরণদ্বারা নায়িকার চরণ পীড়িত করিবে।।’১১।।
‘তাহাতে সিদ্ধিলাভ করিতে পারিলে ধীরে ধীরে এক-একটি অঙ্গুলির অভিস্পর্শ করিবে।।’১২।।
‘পাদাঙ্গুষ্ঠ দ্বারা নখাগ্র ঘট্টিত করিবে।।’১৩।।
‘তাহাতেও সিদ্ধিলাভ করিতে পারিলে, সে-স্থান ছাড়িয়া অন্যস্থান ও সে-স্থান ছাড়িয়া তদুর্দ্ধ স্থান অভিস্পর্শ করিতে আকাঙ্খা করিবে।।’১৪।।
‘সহ্য করাইবার জন্য পূর্বাভ্যস্থরূপে আবার অভিস্পর্শ করিবে।।’১৫।।
‘যদি পাদধাবন করিয়া দেয়, তবে পাদাঙ্গুলি সন্দংশ দ্বারা তাহার পাদাঙ্গুলি পীড়ন করিবে।।’১৬।।
‘কোনও দ্রব্যের
সমর্পণে বা গ্রহণে তদ্গত বিকার
কার্য।।’১৭।।
‘তদ্গত
বিকার, সনখস্পর্শ
অর্পণ বা গ্রহন।।’১৭।।
‘যদি আচমনের
জল দেয়, তবে
আচমনের অবসানে জলচুলকদ্বারা
আসেক করিবে।।’১৮।।
আসেক—জল
ছিটাইয়া দেওয়া।।১৮।।
‘বিজনে বা অন্ধকারে দুইজনে বসিয়া সহ্য করাইবে। সমানদেশ শয্যাতে বসিয়া নখস্পর্শাদি সহ্য করানো যায়।।’১৯।।
‘সেখানে বসিয়া নায়িকাকে উদ্বিগ্ন করিয়া, আকার দ্বারা যথার্থ ভাব নিবেদন করিবে।।’২০।।
‘নির্জনে কিছু বলিবার আছে’—এই কথা বলিয়া বচনবিন্যাসে নায়িকার নির্বাচন ও ভাব, যেমন পারদারিকে বলিব, সেই অনুসারে উপলক্ষিত করিবে।।’২১।।
ভাব জানিতে
পারিলে আভ্যন্তর অভিযোগ করিতে
হইবে।
‘ভাব
জানিতে পারিয়া ব্যাধির ছল
করিয়া সংবাদ লইবার জন্য নিজের
গৃহে তাহাকে (নায়িকাকে)
আনাইবে।।’২২।।
‘আসিলে ‘মাথা কামড়াইতেছে, মাথা টেপ’ বলিয়া শিরঃপীড়নে নিয়োগ করিবে। তাহার হাত লইয়া আকারের সহিত নয়নদ্বয়ে ও ললাটে নিধান করিবে।।’২৩।।
‘ঔষধের
অপদেশার্থে নায়িকার কর্মই
ঔষধ বলিবে।।’২৪।।
–যাহা
হইলে জানিতে পারে যে তাহার
জন্যই ইহার এই অবস্থা।।২৪।।
‘এ তোমার করিতে হইবে। এ তোমা ভিন্ন অন্যের কার্য নহে। যখন নায়িকা গমন করিবে, তখন আবার আসিবার জন্য সানুবদ্ধে এই সকল কথা বলিয়া বিদায় দিবে।’২৫।।
‘এই প্রকার যোগ তিন রাত্রি ও তিন সন্ধ্যা প্রযুক্ত করিবে।।’২৬।।
‘নায়িকা আসিলে বহুক্ষণ দর্শনের জন্য কলা বা আখ্যায়িকার গোষ্ঠী (সমিতি) বর্দ্ধিত করিবে।’২৭।।
‘নায়িকার বিশ্বাসণের জন্য অন্যান্য স্ত্রীরও সহিত অধিক অধিক অভিযোগ করিবে; কিন্তু বাক্যে কিছুই নির্বাচন করিবে না।।’২৮।।
‘অত্যন্ত
বিশ্বাস জন্মিলেও কন্যাসমূহের
নিকট নির্বাচনে কিছুই সিদ্ধ
হয় না। ঘোটকমুখ এই কথা
বলেন।।’২৯।।
–কন্যাগণ
বহু বহু অভিযোগের অপেক্ষা
করে।।২৯।।
‘বহু অভিযোগ করিয়া যখন বুঝিবে, কন্যা কার্যে উন্মুখী হইয়াছে, তখনই উপক্রম করিবে।।’৩০।।
‘সন্ধ্যাকালে,
রাত্রে ও
অন্ধকারে, স্ত্রীলোকেরা
তত ভয় করে না। সেই সেই সময়ে
তাহারা সুরতব্যবসায়িনী ও
রাগবতী হয়। তখন পুরুষকে পাইলে
প্রত্যাখ্যান করে না;
সুতরাং সেই
সময়ে প্রয়োগ করা উচিত।।’৩১।।
–ইহাই
প্রায়িক জানিবে।।৩১।।
‘এক পুরুষাভিযোগের সম্ভব না হইলে, নায়ক নায়িকাকে নিকটে আনিতে ইচ্ছা করিয়াছে, এইরূপ জ্ঞানসম্পন্না নায়িকার উপর প্রভাবশালিনী ধাত্রেয়িকা বা সখী সে-কথা না বলিয়া অন্যব্যপদেশে, অর্থাৎ অন্য প্রকারে ছল করিয়া, নায়িকাকে নায়কের পার্শ্বে আনিয়া দিবে ও দ্যুতক্রীড়াদিতে বাক্কলহ বাধাইয়া তাহার পর যথোক্ত অভিযোগ প্রয়োগ করিবে।।’৩২।।
‘অথবা নিজের পরিচারিকাকে নায়িকার সখীত্বে বরণ করিবে।।’৩৩।।
‘যজ্ঞস্থলে, বিবাহে, যাত্রায়, উৎসবে, ব্যসনে,* বা প্রেক্ষণকব্যাপৃত জনসঙ্ঘস্থলে, সেই সেই স্থলে যে ইঙ্গিতাকার দেখাইয়াছে এবং যাহার ভাব পরীক্ষা করা হইয়াছে, তাহাকে যদি একাকিনী অবস্থায় উপক্রম করা যায়, তবে সে নিশ্চয়ই অঙ্কশায়িনী হইবে। দেশ ও কাল অনুসারে দৃষ্টভাবা স্ত্রীগণ প্রযুজ্যমান হইলে কখনই ব্যাবর্ত্তিত হয় না। বাৎস্যায়ন এই কথা বলেন। এই পর্যন্ত একপুরুষাভিযোগপ্রকরণ।।’৩৪।।
যেমন ধনহীনত্বাদি
প্রযুক্ত কন্যালাভ করিতে না
পারিয়া কন্যার অনুরঞ্জন করিবে;
সেইরূপ কন্যাকে
দিবার যদি কেহই না থাকে বা
অন্যকারণে দানের যোগ্য না
হয়, তবে
কন্যা স্বয়ংই উপাবর্তন করিবে।
সেরূপ স্থলে কন্যার প্রযোজ্য
নিকটে অভিমুখীকরণ সম্বন্ধে
কিছু কথিত হইতেছে—
কন্যা
বরণের অযোগ্য কেন?
‘কন্য
যদি হীনাভিজনা হয়, কিংবা
গুণবতী হইলেও যদি কেহ প্রদান
করিতে না চায়, অথবা
কুলীন হইলেও ধনহীনা বলিয়া
সমানব্যক্তি বরণ করিতে না
চায়, মাতৃপিতৃহীনা
বলিয়া জ্ঞাতিকূলে পালিতা;
কিন্তু প্রদত্তা
হয় নাই। সে অবস্থায় কন্যা
যৌবনপ্রাপ্ত হইয়া পাণিগ্রহণ
স্বয়ং করিতে ইচ্ছা করিবে।।’৩৫।।
সুদৃশ্য বর
লাভের উপায় বলিতেছেন—
‘সেই
কন্যা নায়কগুণযুক্ত,
যুদ্ধাদিতে
সক্ষম, সুদর্শন
পুরুষকে বাল্যক্রীড়াকালে
যাহার উপর অধিক প্রীতি ছিল,
তাদৃশ প্রীতির
সাহায্যে অভিযুক্ত করিবে।।’৩৬।।
গুণান্তরের
কথা বলিতেছেন—
‘অথবা
যাহাকে মনে করিবে যে, এ
ব্যক্তি মাতাপিতার মত না লইয়াও
ইন্দ্রিয়দৌর্বল্যবশত নিজেই
আমাতে প্রবর্তিত হইবে;
তাহাকে প্রিয়
ও হিতকর উপচারে ও বারংবার
সন্দর্শন করিয়া নিজের অভিমুখ
করিবে।।’৩৭।।
‘ইহার মাতা
ইহাকে সখী ও ধাত্রেয়িকার সহিত
তাহার (নায়কের)
অভিমুখকরণ
করিবে।।’৩৮।।
–মাতা
ত মরিয়া গিয়াছে, তবে
কৃতক মাতা এরূপ করিবে।।৩৮।।
বাহ্য ও অভ্যন্তর
উপচার দ্বারা কর্তব্য। তন্মধ্যে
বাহ্যোপচারকে লক্ষ্য করিয়া
বলিতেছেন—
‘পুষ্প,
গন্ধ ও তাম্বুল
হস্তে লইয়া বিজনে এবং বিকালে
নায়কসমীপে গমন। কলাকৌশল
প্রকাশনে, সংবাহনে
বা শিরঃপীড়নে যথোচিত প্রদর্শন
করা কর্তব্য করিবে। প্রযোজ্য
নায়কের অভিপ্রায়ানুযায়ী
কথাযোগ কর্তব্য। বালাতে নায়কের
উপক্রম বিষয়ে যেরূপ কথিত
হইয়াছে, ঠিক
সেইরূপ আচরণ করিবে।।’৩৯।।
–ঔচিত্য
দর্শন করিবে; কিন্তু
হঠাত প্রতিজানতী হইবে না।
তবে যদি নায়ক অত্যধিক অনুবন্ধ
করে, তবে
অনুকরণ করিবে মাত্র।।৩৯।।
‘নায়িকা
কামপরবশা হইলেও পুরুষ ব্যতীত
নিজে কখনই অভিযোগ করিবে না।
নিজে অভযোগিনী যুবতী নিশ্চয়ই
সৌভাগ্য লাভ করিতে পারে না।
এই কথা আচার্যগন বলিয়াছেন।।’৪০।।
–তবে
নায়ক যদি সেই প্রকার অভিযোগ
করে, তবে
তাহা প্রতিগ্রহ করিবে। তাহাতে
গ্রহণে নিশ্চয়ই করিবে না।।৪০।।
‘কিন্তু নায়ক
যেসকল অভিযোগ প্রযুক্ত করিবে,
তাহা নায়িকা
অনুকূলভাবে গ্রহণ করিবে।
আলিঙ্গিত হইলে কিছুমাত্র
বিকারভাগিনী হইবে না। নায়ক
কোনরূপ মধুর আকার আবিষ্কার
করিলে, তাহা
অজানতীর ন্যায় অস্ফুটভাবে
প্রতিগৃহীত করিবে। বদনগ্রহণকালে
এমনটি করিবে, যাহাতে
নায়কের বলাৎকার করিতে হয়।
রতিভাবনায় অভ্যর্থ্যমানা
হইলে, অতিকষ্টে
নায়কের গুহ্যদেশ স্পর্শ
করিবে।’৪১।।
–রতিভাবনা—সে
যখন নায়ককর্তৃক নিজগুহ্যে
তাহার পাণিন্যাসদ্বারা নিজের
ব্যুৎপত্তি বিজ্ঞাপনার্থ
অভ্যর্থ্যমান হইবে, তখন
অতিকষ্টে নায়কগুহ্য স্পর্শ
করিবে।।৪১।।
তাহার মধ্যেও
বিশেষ কিছু আছে, তাহা
বলিতেছেন—
‘নায়িকা
অভ্যর্থিতা হইলে ভাব,
অঙ্গ ও প্রতঙ্গ
দর্শনদ্বারা অত্যন্ত বিনতা
হইবে না; কারণ,
যদি তখনও
নিজগ্রহণে নিশ্চয় না হইয়া
থাকে কিন্তু যখন মনে করিবে
যে, এ-ব্যক্তি
আমার অনুরুক্ত হইয়াছে,
আর ফিরিবে না;
তখন এ-ব্যক্তি
অভিযোগ করিলে, বালভাবমোচনের
জন্য (গান্ধর্ববিধিপূর্বক
কৌমাহরণের জন্য) ত্বরাবতী
হইবে এবং কন্যাভাব বিমুক্ত
হইলে বিশ্বাস্য সখী ধাত্রেয়িকাদির
নিকট প্রকাশ করিবে। বলিবে,
গন্ধর্ববিধি
অনুসারে আমি বিবাহিত হইয়াছি।
ইতি প্রযোজ্যের উপাবর্তননামক
প্রকরণ।।’৪২।।
‘এ বিষয়ে
কতকগুলি শ্লোক আছে–’
কন্যা
অভিযুজ্যমানা হইয়া যাহাকে
সুখকর এবং আশ্রয়যোগ্য মনে
করিবে এবং দেখিবে অনুকূল ও
বশ্য; তাহাকেই
পরিগ্রহ করিবে।।’৪৩।।
‘যেখানে গুণের
বা উচিতভাবে এবং রূপের অপেক্ষা
না করিয়া কেবল ধনের লোভে বহু
সপত্নী থাকা সত্বেও পতি গ্রহণ
করিবে, সেখানে
কন্যা স্বয়ং সগুণ সমর্থ এবং
একান্তত অর্থিজনকে উপায়পূর্বক
অভিযোগ করিলেও প্রতিলোভিত
করিবে না, পরিহার
করিবে।।’৪৪।।
–যেখানে
দেখিবে, ধনবান,
বহুপত্নীক এবং
গুণবানও বটে, সেখানে
তাহাকে প্রতিলোভিত করিবে না,
পরিহার করিবে।।৪৪।।
‘বরং বশ্য নির্গুণ, দরিদ্র এবং আত্মধারণক্ষম (কুটুম্বমাত্র পোষাক) পতিও ভাল; কিন্তু বহু-সাধারণ (বহুপরিবারান্ত্ররভুক্ত সেও একজন) এইরূপ পতি গুণযুক্ত হইলেও তত প্রিয়কর হইবে না।।’৪৫।।
যে বশ্য নহে,
তাহার দোষ
আছে—
‘প্রায়শ
ধনীগণের দারগণ বহু হয় এবং
তাহারা নিরঙ্কুশই (স্বেচ্ছাচারী)
হইয়া থাকে।
তাহাদিগের বাহ্য বসনাসনাদি
উপভোগ প্রচুর থাকায় সেইসকল
দারগণ বহিঃসুখসম্পন্ন বলিয়া,
রতিরসের নিতান্ত
উপভোগপাত্র হইতে পারে
না।।’৪৬।।
–আন্তর
সুখের আশায় তাহাদিগকে বিশ্বাস
করা অসম্ভব ব্যাপার বলিয়া
মনে হয়।।৪৬।।
‘যদি কোন নীচ জাতি বা বৃদ্ধ কিংবা চিরপ্রবাসী পুরুষ অভিযোগ করে, তবে সে কখনই রতিসংযোগ লাভ করিতে উপযুক্ত নহে।।’৪৭।।
‘যে ব্যক্তি যাদুচ্ছিক অভিযোগশীল বা ব্যাজবহুল (কপটতাকারী), কিংবা দম্ভ ও দ্যুতে নিতান্ত আসক্ত, সপত্নীক বা সাপত্য, অথবা একতরবান্, সে কখনই রতিসংযোগ পাইবার অধিকারী নহে।।’৪৮।।
যদি বশ্য হয়,
তবে তাদৃশ
ব্যক্তিও যোগ্য—
‘অভিযোগকারীগণের
উক্ত গুণ সমানই হইলে,
তন্মধ্যে একজন
প্রার্থয়িতা নিশ্চয়ই বর হইতে
পারিবে। তাহাদিগের যদ্যপি
গুণ সমানই থাকে, তথাপি
যে অভিযোক্তা সাধুকারী,
সেই ব্যক্তি
শ্রেষ্ঠ; কারণ,
তাহার অনুরাগ
অতীব পরিস্ফুট।।’৪৯।।
ইতি অভিযোগত কন্যাপ্রতিপ্রত্তিনামক প্রকরণ।
—————————————–
* ব্যসন—কামজ
দশ প্রকার, যথা
মৃগয়া, দ্যুত,
দিবানিদ্রা,
পরনিন্দা,
বেশ্যাসক্তি,
নৃত্য,
গীত,
ক্রীড়া,
যথাভ্রমণ,
মদ্যপান।