৩.১ একচারিণীবৃত্তম্‌ ও প্রবাসচর্য্যা (এক পত্নী সংক্রান্ত)

তৃতীয় ভাগ – প্রথম অধ্যায়

কন্যা পুরুষের সহিত সম্প্রবৃত্ত হইবে, ইহা কথিত হইয়াছে; কিন্তু কিরূপে পুরুষের সহিত ব্যবহার করিবে, তাহা বলা হয় নাই। অতএব এখন ভার্যাধিকারিক অধিকরণ বলা যাইতেছে। সেটী কন্যাসম্প্রযুক্তক অধিকরণেরই অঙ্গভুত। নতুবা ততোহধিক বা ততোহপি বিশেষ অনুষ্ঠান হওয়ায় সংযুক্তা হইয়া অসম্প্রযুক্তাই হইয়া যাইবে।
ভার্যা দ্বিবিধ—একচারিণী ও সপত্নীকা। তাহার মধ্যে প্রধানত প্রথমে একচারিণীবৃত্ত নামক প্রকরণের আরম্ভ করা হইতেছে—

একচারিণী ভার্যা গূঢ়বিশ্বাসসম্পন্না হইয়া পতিকে দেবতার ন্যায় চিন্তা করিয়া তাহার চিত্তের অনুবিধান করিয়াই নিজ শরীরের স্থিতি বিষয়ে চেষ্টিতবতী হইবে।।’১।।

বৃত্তের সূচনা করিতেছেন—
পতির মতানুসারেই পত্নী গৃহচিন্তা আত্মাধীন করিবে।।’২।।

একচারিণী নারী গৃহগুলি সর্বদা পবিত্র রাখিবে। সর্বদা গৃহের সকল স্থানগুলিই সুশোভিত করিবে। স্থানে স্থানে বিধিধকুসুম বিপ্রকীর্ণ করিয়া দিবে। ভূতল স্থানসকল মসৃণ করিবে। স্থানগুলি হৃদ্যদর্শন হইবে। ত্রিসন্ধায় বলিকর্ম আচরিত হইবে এবং দেবতায়নগুলি পূজিত হইবে।।’৩।।

গোনর্দীয় বলেন, ইহা ভিন্ন গৃহস্থের পক্ষে চিত্তগ্রাহক আর কিছুই নাই।।’৪।।

শ্বশুরাদিগুরুজনে, ভৃত্যবর্গে, নায়কভগিনী-ননান্দাসকলে এবং তাহাদিগের স্বামীর নিকট যেমন যাহার প্রতিপত্তি তাহার নিকট সেইরূপ প্রতিপত্তির বাক্‌ ও কার্যের দ্বারা অনুষ্ঠান করিয়া রক্ষা করিবে।।’৫।।

গৃহের শোধন হইলে হরিত (ধান্যক ও আদ্রকাদি), শাক (পালঙ্ক্য আদি), ইত্যাদি ক্ষেত্র নির্মাণ করিবে এবং ইক্ষুর গাছ, জীরক, সর্ষপ, অজমোদ, শতপুষ্পা, তমাললতার ক্ষেত্র পরিপাটি করিবে।।’৬।।

বৃক্ষবাটিকায় কুব্জক, আমলক, মল্লিকা, জাতী, কুরণ্টক, নবমালিকা, তগর, নন্দাবর্ত ও জপার গাছ এবং তদ্ভিন্ন আরও যে সকল গাছ বহুপুষ্প হয়, তাহাও রোপন করিবে, বালক ও উশীর (বেলা) ক্ষেত্র নির্মাণ করিবে। আর মধ্যে মধ্যে মনোজ্ঞ স্থণ্ডিলসকল (অবপদিক) নির্মাণ করাইবে।।’৭।।

মধ্যে একটি কূপ, বাপী বা দীর্ঘিকা খনন করাইবে।।’৮।।

ভিক্ষুকী, শ্রমণা, ক্ষপণা, কুলটা কুহকেক্ষণিকা এবং মুলকারিকাদিগের সহিত সংসর্গ করিবে না।।’৯।।
ভিক্ষুকী—ভিক্ষণশীলা; শ্রমণা ও ক্ষপণা—রক্তপট্টধারিণী সন্ন্যাসিনী; কুলটা—গোপনে খণ্ডিতচরিত্রা; কুহকা—কৌতুকদর্শণকারিণী; ঈক্ষণিকা—বিপ্রশ্নিকা; মূলকারিকা—বশীকরণমূলক কর্মকারিণী।।৯।।

ভোজনবিষয়ে—নায়কের এটি রুচিকর, এট দ্বেয্য, এটি পথ্য, এটি অপথ্য—ইহা বিলক্ষণরূপে জানিবে।।’১০।।
ইহাই জ্ঞানে নায়কের অভিলাষিত সম্পাদন করা হইবে।।১০।।

বাহিরে নায়কের স্বর শুনিয়া ঘরে আসিতেছেন বুঝিয়ে, ‘কি করিতে হইবে বা কি চাই’—বলিতে বলিতে সাবধান সহকারে আঙ্গিনায় আসিয়া দাঁড়াইবে।।’১১।।

পরিচারককে সরাইয়া দিয়া স্বয়ং পাদপ্রক্ষালন করিয়া দিবে।।’১২।।

বিজনপ্রদেশে নায়কের দর্শনপথে বিমুক্তভূষণ হইয়া দাঁড়াইবে না।।’১৩।।

নায়ক অতিব্যয় বা অসদ্ব্যয় করিতে থাকিলে নির্জন স্থানে বুঝাইবে।।’১৪।।

আবাহে (বরগৃহে, বিবাহে), বাসরে, যজ্ঞে বা সখীদিগের সহিত কোন গোষ্ঠীতে বা দেবতায়তনে গমন করিতে হইলে, নায়কের অনুজ্ঞা লইয়া যাইবে।।’১৫।।

যক্ষরাত্রি প্রভৃতি সমস্ত ক্রীড়াতেই নায়কের আনুকূল্য করিয়া প্রবর্তিত হইবে।।’১৬।।

নায়ক শয়ন করিলে শয়ন করিবে, নায়ক না উঠিতেই উঠিবে। দিনে যতক্ষণ নিদ্রাভগ্ন না হয়, ততক্ষণ উঠিবে না।।’১৭।।

মহানস (পাকশালা) সুগুপ্ত হইবে, যাহাতে কোন উপরিক প্রবিষ্ট না হইতে পারে এবং দর্শনীয় হইবে, অন্ধকারাদি থাকিবে না, পরিষ্কার হইবে, সাজান থাকিবে, দ্রব্যাদি বিপ্রকীর্ণ থাকিবে না।।’১৮।।

নায়কের অপরাধ হইলে, কলুষিত হইয়া অত্যান্ত কিছুই বলিবে না।।’১৯।।

কিছু যদি তিরস্কারই করিতে হয়, তবে একাকী পাইয়া বা মিত্রজনমধ্যস্থ পাইয়া সাধিক্ষেপ বাক্যে তিরস্কার করিবে। কখনও মূলকারিকা—বশীকরণ জন্য মূল কর্ম করিবে না।।’২০।।

এই বশীকরণ কর্মাপেক্ষা অন্য যে কিছু অবিশ্বাসের কারণ আছে, ইহা গোনর্দীয় স্বীকার করেন না।।’২১।।

দুর্বাহৃত (দুর্বচন), দুর্নিরীক্ষিত (অস্নিগ্ধবীক্ষণ), বক্রমুখী হইয়া কথা বলা। এ তিনটি বৈরাগ্যজনক। দ্বারদেশে অবস্থান, দ্বারদেশে বা গবাক্ষে থাকিয়া দর্শন। এতদুভয় অযত্নসাধ্য হইলেও অকর্তব্য। গৃহবাটিকার মধ্যে যাইয়া কোন স্ত্রীর সহিত মন্ত্রণা করা, নির্জন গৃহপ্রদেশে যাইয়া অনেক কাল অবস্থান করা। এ দুইটি অস্নিগ্ধতাজনক; সুতরাং বর্জন করিবে।।’২২।।

স্বেদ (ঘর্ম), দন্তমল ও দুর্গন্ধ বুঝিবে; কারণ, ইহা ভর্তার বৈরাগ্যের কারণ।।’২৩।।

বহুভূষণ ধারন, বিবিধকুসুম ও অনুলেপন গ্রহণ এবং বিবিধপ্রকার অঙ্গরাগে সমুজ্জ্বল বসন পরিধান নায়কের অভিগমনকে লক্ষ্য করিয়াই করিবে; কারণ, ইহা আভিগমিক বেশ। প্রতনু (খুব মিহি), শ্লক্ষ্ণ (মসৃণ ও খাপি), অল্প দুকূলতা (দুইখান মাত্র কাপড় পরা), পরিমিত আভরণ (গ্রীবা ও কর্ণে) এবং সুগন্ধিতা (গোলাপ আতর প্রভৃতি মাখা), অতিরিক্ত অনুলেপন নহে এবং অন্য শুক্ল পুষ্পসকল ধারণ করা বৈবাহিক বেশ। বিহার ভ্রমণকালীন বেশ এই প্রকারের করিতে হইবে।।’২৪।।

নায়কের ব্রত ও উপবাসে স্বয়ংও করিয়া অনুবর্তিত হইবে। বারণ করিলে ‘এবিষয়ে তুমি আমার কিছু নির্বন্ধ করিও না’—বলিয়া নায়কের কথা ফিরাইয়া দিবে।।’২৫।।

উপযুক্তকালে মৃদুভাণ্ড, বিদলভাণ্ড (পেটরাদি), কাষ্ঠভাণ্ডপীঠখট্টাদি, চর্মভাণ্ড মশকাদি, লৌহভাণ্ড চাটুকাদি, তাম্রভাণ্ড ঘটি প্রভৃতি, পিত্তলভাণ্ড বহুগুণা (বেক্‌নো) প্রভৃতি সমান মূল্যে ক্রয় করিবে। পরে মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা করিয়া সুবিধা সময়ে ক্রয় করিবে।।’২৬।।

সৈন্ধবাদি লবন, সর্ষপরণাদি তৈল, তগরাদি গন্ধদ্রব্য, কটুকভাণ্ড তুম্বী আদি, দ্বিপঞ্চ মুলাদি ঔষধ, যাহা কিছু দুর্লভ মনে করিবে; তাহা গৃহমধ্যে প্রচ্ছন্নভাবে রাখিবে। অন্যথা সময়ে পাওয়া যাইতে নাও পারে।।’২৭।।

মূলক, আলুক (গোলালু ও মাটির আলু), পালঙ্কী (পালংশাক), দমনক (দোনাগাছ), আম্রতক (আমড়া), এর্বারুক (কাঁকুড়), ত্রপুস (শাকবিশেষ), বার্তাক, বেগুন, কুষ্মাণ্ড, অলাবু (লাউ), সূরণ (ওল), শুকনাসা (শীম), স্বয়ংগুপ্তা (কপি, কচ্ছু), তিলপর্ণিকা (কাশ্মীর), অগ্নিমন্থ, লশুন, পলাণ্ডু প্রভৃতি সমস্ত ঔষধির যথাকালে বীজগ্রহণ ও বীজবপন করিবে।।’২৮।।
অন্যথা অসময়ে অতিরিক্ত ব্যয় করিয়াও পাওয়া নাও যাইতে পারে।।২৮।।

নিজের সারদ্রব্যের (ধনের) এবং ভর্তা যাহা মন্ত্রণার কথা বলিবেন, তাহা পরকে বলিবে না।।’২৯।।

সমান স্ত্রীকে কৌশল প্রদর্শন করিয়া নিজের উজ্জ্বলতা বিকাশ করিয়া পাকদ্বারা ও মনস্বিতা দ্বারা আর নানাবিধ উপচার দ্বারা ভর্তার নিকট হীন বলিয়া প্রখ্যাপন করিতে চেষ্টা করিবে।।’৩০।।

সংবৎরিক আয় নির্ধারণ করিয়া তদনুরূপ ব্যয় করিবে।।’৩১।।

ভোজনাবিশিষ্ট দুগ্ধ হইতে ঘৃত প্রস্তুতকরণ ও আবশ্যক সর্ষপ ও ইক্ষুকাণ্ডের অবশিষ্ট ভাগ হইতে তৈল এবং গুড় প্রস্তুত করিবে। কার্পাসের সূত্র কর্তন এবং সূত্রের বাণ (আচ্ছাদনার্থ বসন) প্রস্তুত করিবে এবং শিক্য (ভাণ্ড স্থাপনার্থ), রজ্জু (জলোদ্ধারনার্থ), প্যশ (পশুবন্ধনার্থ), বল্কল (রজ্জাদি নির্মাণ করিবার জন্য) সংগ্রহ করিবে। (ধান্যের) কুট্টন ও কণ্ডন (তণ্ডুলের) পরীক্ষা করিবে। আচাম, মণ্ড, তুষ, কণ, কুটি (কুঁড়ো) ও অঙ্গারের উপযোগ করিবে, অর্থাৎ আচার ও মণ্ড গবাদিকে তুষ রন্ধন লেপন দিবে, কণ কুক্কুটাদিকে, কুটি গোমেষাদিকে, অঙ্গার যাহা মহানসে উৎপন্ন হইবে, তাহা লোহভাণ্ডকরণাদিতে উপযোগ করিবে। তাহাদিগের বেতন ও ভরণ যেরূপ দেশকাল কর্মানুসারে দাতব্য ও কর্তব্য, তাহা ভাল করিয়া জানিবে। কর্ষণ, বাপন, রোপনাদি, পশুপালনচিন্তা ও বাহন বিধান সুন্দররূপে প্রত্যবেক্ষণ করিবে। মেষ, কুক্কুট্টি, লাবক, শুক, শারিকা, কোকিল, ময়ুর, বানর ও মৃগগনকে অববেক্ষণ করিবে। এতদ্ভিন্ন দৈবসিক আয় ও দৈনিক ব্যয় পিণ্ডীকরণ (একত্র) করিয়া দেখিবে। ইহা তাহার প্রাত্যহিক কর্ম।।’৩২।।

নায়কোপভুক্ত জীর্ণ বসনের সঞ্চয় ও সঞ্চিত বিবিধরাগে রঞ্জিত বা শুদ্ধ অবস্থায় রাখিয়া যাহার কর্ম করিয়াছে বা করিতেছে, সেইসকল পরিচারকগণকে মানার্থে-অনুগ্রহস্বরূপ দান বা দীপবর্তি, কন্থা বা ঔপরিক (ওয়াড়) প্রস্তুতাদি করিবে।।’৩৩।।

সুরাকুম্ভী ও আসবকুম্ভীর প্রচ্ছন্নভাবে স্থাপন ও তাহার প্রয়োজনানুসারে উপযোগ এবং ক্রয়বিক্রয় ও আয়ব্যয় আবেক্ষণ করিবে।।’৩৪।।

যাহারা নায়কের মিত্র, ন্যায়ানুসারে মাল্য, অনুলেপন ও তাম্বুল দান করিয়া তাহাদিগের পূজা করিবে। শ্বশ্রূ বা শ্বশুরের পরিচর্যা করিবে। তাঁহাদিগের অধীন হইয়া, কথায় কথায় উত্তর না দিয়া, পরিমিত ও অপ্রচণ্ডভাবে আলাপ করা এবং অনুচ্চভাবে হাস্য করা কর্তব্য। আর তাঁহাদিগের প্রিয় ও অপ্রিয়ে নিজের প্রিয় ও অপ্রিয়ে যেরূপ আচরণ করা যায়, সেইরূপ করা। ভোগে গর্বপ্রকাশ না করা। পরিজনে দাক্ষিণ্য (সরলতা) প্রকাশ করা। নায়ককে না বলিয়া কাহাকেও দান না দেওয়া। নিজের কর্মে ভৃত্যজনের নিয়োগ করা। উৎসবাদিতে তাহাদিগের পান-ভোজনাদি দিয়া পূজা করা। ইহাই একচারিণী নায়িকার বৃত্ত জানিবে।।’৩৫।।

ইতি একচারিণীবৃত্তনামক প্রকরণ।।

নায়ক সন্নিহিত থাকিলে একচারিণীর কর্তব্য সম্বন্ধে কিছু উপদেশ দেওয়া হইল। এখন নায়ক প্রোষিত (বিদেশস্থ) হইলে নায়িকার কি কি কর্তব্য তাহার উপদেশ করা যাইতেছে—

এখন প্রবাসচর্যাপ্রকরণ আরম্ভ করা যাইতেছে—
১। ‘নায়ক প্রবাসে অবস্থান করিলে, কেবলমাত্র মঙ্গলকর আভরণ (লোহা ও খাড়ু মাত্র) ধারণ করিয়া দেবতার প্রীত্যর্থ উপবাসপরায়ণা হইবে। আর নায়কের সংবাদ অম্বেষণে যত্নপর হইয়া গৃহকর্ম অবেক্ষণ করিবে।।’৩৬।।

২। ‘শ্বশুরপ্রভৃতি গুরুজনের নিকটে শয্যা করিয়া শয়ন করিবে। গুরুজনের অভিমতানুসারে কর্যানুষ্ঠান করিবে। নায়কের অভিমত অর্থের উপর্জনে ও যাহা তাঁহার অভিমত ছিল, কিন্তু উপার্জন করিতে না পারিয়াই প্রবাসে যাইতে হইয়াছে, সে-সকল অর্থের উপার্জনার্থ প্রতিসংস্কার করিতে প্রযত্ন করিবে।।’৩৭।।

৩। ‘নিত্য ও নৈমিত্তিক কর্মে উচিত ব্যয় ও নায়কের আরদ্ধ কর্মগুলির সমাপনে মতি করিবে।।’৩৮।।

৪। ‘নায়কের জ্ঞাতিকুলে অভিগমন, ব্যসন ও উৎসব ব্যতীত করিবে না। ব্যসনে বা উৎসবে নায়কের পরিজনদ্বারা অধিষ্ঠিত হইয়া যাইবে; কিন্তু অধিককাল অবস্থান করিবে না। প্রবাসবেশ পরিবর্তন করিবে না।।’৩৯।।

৫। ‘গুরুজনের অভিমতানুসারে উপবাস করিবে। অদৃষ্টদোষ আজ্ঞাধিষ্ঠিত পরিচারক দ্বারা অনুমত ক্রয়বিক্রয় কর্ম দ্বারা ধনের অভিবর্ধন ও শক্তি অনুসারে ব্যয়ের সংক্ষেপ করিতে যত্নপ্রকাশ করিবে।।’৪০।।

৬। ‘নায়ক প্রবাস হইতে প্রত্যাগত হইলে প্রথমত প্রবাসবেশেই সাক্ষাৎ করিয়া দর্শন করিবে। পরিজনের সহিত দেবতাপূজা ও উপযাচিতক উপহারগনের দেবতার উদ্দেশে দান করিবে। ইতি প্রবাসচর্যা।।’৪১।।

ইতি প্রবাসচর্যানামক প্রকরণ।।

এ বিষয়ে দুইটি শ্লোক আছে—
কুলস্ত্রী, পুনর্ভু, বেশ্যা, একচারিণী সকলেই নায়কের হিত ইচ্ছা করিয়া সদ্বৃত্তের অনুবর্তন করিবে। নারীগণ সদ্বৃত্ত অবলম্বন করিলে ধর্ম, অর্থ, কাম, স্থান এবং নিঃসপত্ন ভর্তা লাভ করিতে পারে।।’৪২।।

ইতি শ্রীমদ্‌বাস্যায়নীয় কামসূত্রে ভার্যাধিকারিকনামক তৃতীয় অধিকরণে একচারিণীবৃত্ত ও প্রবাসচর্যানামক প্রথম অধ্যায় সমাপ্ত।।১।।



Post a Comment

Previous Post Next Post

POST ADS1

POST ADS 2